রাজধানী ঢাকা এবং গাজীপুরে পৃথক তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এসব ঘটনা ঘটে বুধবার রাতে থেকে বৃহস্পতিবার ভোরের মধ্যে। আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন, এবং তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রথম ঘটনা ঘটে যাত্রাবাড়ী এলাকায়, যেখানে রাত পৌনে ১২টার দিকে ১৭ বছর বয়সী রাজন বর্মন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন। রাজন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং যাত্রাবাড়ী কাজলা পেট্রোল পাম্পের কাছে ভাড়া থাকতেন। তার বাবা রমেশ বর্মন জানান, রাজন রাতে কাজলা মিনা বাজারের গলি দিয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। ছিনতাইকারীরা মোবাইল ছিনিয়ে নিতে চাইলে রাজন বাধা দেন, তখন ছিনতাইকারীরা তাকে বুকের বামপাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রাজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন।
দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে খিলগাঁওয়ের গোড়ান আদর্শ গলির সামনে, যেখানে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে মো. কাজল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন। কাজল নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার নূর আহমেদের ছেলে। তার ভাগ্নি তন্নী জানান, কাজল অটোরিকশায় যাওয়ার সময় তিনজন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে চাপাতি দিয়ে পায়ে আঘাত করে এবং মোবাইল ও পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তৃতীয় ঘটনা ঘটে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার এলাকায়, যেখানে পুলিশ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। নূর মোহাম্মদ নামে এক পুলিশ সদস্য জানান, মোশারফ তার বাসার মালপত্র নিয়ে পিকআপে করে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন। পথে ছিনতাইকারীরা পিকআপের গতিরোধ করে এবং মোশারফকে পায়ের বামপাশে ছুরিকাঘাত করে তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, এবং চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন।
এ ঘটনাগুলোর পর ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, এসব ছিনতাইয়ের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।